এইচ এম এম সাইফুদ্দীন, ফটিকছড়িঃ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে ২১ মে ভোট হবে ফটিকছড়িতে। এবার এ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা চলছে আওয়ামী লীগের বিপরীতে আওয়ামী লীগের। ভোট কাস্ট করার জন্য প্রাথীরা বৃষ্টি-খরতাপ উপেক্ষা করে ছুটছেন এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায়। নিজের জন্য ভোট চাইছেন ভোটারের কাছে। এবারে দলীয় প্রতীক না থাকায় এবং বিএনপি, জামায়াত, জাতীয়পাটিসহ অন্য দলগুলোর প্রার্থী না থাকার কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হাড্ডাহাড্ডি হবে বলে ধারণ করছেন স্থানীয়রা।
এ উপজেলায় ৩ পদে ৮ জন প্রার্থী পুরোদমে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা করেছেন এবার। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যানে পদে দু’জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দু’জন প্রার্থীর গণসংযোগ চলছে পুরোদমে। তাদের সমর্থকরা সকাল থেকে রাত অবধি নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। হাট-বাজার, চায়ের দোকানে চলছে ভোটের আলোচনা- সমালোচনা। পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে উপজেলার অলিগলি।
আগামি কয়েক দিন পর প্রচারণার সময় শেষ হবে এ উপজেলায়। এবার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা মু. বখতেয়ার সাঈদ ইরানের প্রতিপক্ষ হয়ে। আর পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট সালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন লড়ছেন বই প্রতীকে, ফটিকছড়ি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিনের প্রতীক টিউবওয়েল, সৈয়দ জাহেদুল্লাহ কৌরাইশীর তালা, নাজিমুদ্দিন সিদ্দিকীর চশমা। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা (প্রজাপতি) ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শারমিন আক্তার নুপুর (ফুটবল)।
উপরোল্লিখিত সকল প্রার্থী এ উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তাই ভোটার এবং তৃণমূলে বিভক্তি এখানে দৃশ্যমান।
আরও পড়ুন ফটিকছড়িতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘ভোট কাকে দেব সেটা নিয়ে টেনশন হচ্ছে। এবার দলীয় প্রতীক না থাকায় যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, তাতে দলের সাথে দলের যুদ্ধের মতো।’
আওয়ামী লীগ সমর্থকরা বলছেন, ‘এবার ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মী নির্বাচনের মাঠে প্রচার-প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে না। আবার অনেকে প্রকাশ্যে না এলেও গোপনে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন। এজন্য ভোট শেষ না হওয়া অবধি সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না এবার কে হচ্ছেন ফটিকছড়ি উপজেলার কাণ্ডারী।
অপরদিকে ফটিকছড়ি বিএনপির পক্ষ থেকে ভোট বর্জন করে ভোট সেন্টারে না যাওয়ার জন্য লিফলেট বিতরণ করছেন একাধিক নেতা-কর্মী। সম্প্রতি উপজেলা বিএনপির নেতা সরওয়ার আলমগীর এবং শওকত উল্লাহ চৌধুরীকে এ ধরনের কর্মসূচিতে দেখা গেছে।
এ উপজেলায় সাধারণ ভোটারদের মাঝেও ভোট নিয়ে তেমন আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।হারুয়ালছড়ি গ্রামের কৃষক রুবেলের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘এখন বোরো ধান কাটার মৌসুম চলছে। মানুষজন ব্যস্ত ধান নিয়ে। ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের তেমন আগ্রহ নেই।’
Leave a Reply